আজকে আমি আপনাদের বলবো ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব সম্পর্কে। তথ্যপ্রযুক্তি উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে প্রসার পেয়েছে ইন্টারনেট। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষতা বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন গুলোর। তথ্যের মহাসমুদ্র থেকে তথ্য খুঁজে বের করতে গুগল এর নাম সবার আগেই চলে আসে।গুগল এর দক্ষতা এতো বেশি যে, বর্তমানে এটি একটি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৬৫.১ শতাংশ মানুষ গুগল ব্যবহার করে। ইয়াহু ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০.৯ শতাংশ, এমএসএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮.৪ শতাংশ, আসকব্যবহারী ৩.৯ শতাংশ এবং অন্য গুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৭ শতাংশ। সার্চ দেয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গুগল কোটি কোটি ডাটা আমাদের সামনে হাজির করে। কিন্তু আমরা কী কখনও ভেবে দেখেছি, ইন্টারনেটের মোট ডাটার কতটুকু আমাদের সামনে হাজির করা হচ্ছে, শুনলে আশ্চর্য হবেন, ইন্টারনেটের মোট তথ্যের মাত্র ১০ শতাংশ ডাটা আমাদের সামনে গুগল হাজির করতে পারে। বাকি ৯০ শতাংশ তথ্যই থাকে আমাদের নাগালের বাইরে লোকানো অবস্থাই যা গুগল আমাদের সামনে আনতে পারে না। ডিপ ওয়েবের একটি অংশ হলো ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েব হলো এমন একটি অংশ, যেখানে প্রচলিত নিয়মে আপনি একসেস করতে পারবেন না। সচরাচর ব্যবহৃত ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিন এগুলোকে খুঁজেই পায় না। উল্লেখ্য, ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনগুলো সাধারণত ভার্চুয়াল রোবটের সাহায্যে ‘এইচটিএমএল’ ট্যাগ দেখে সাইটগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখে। এক্ষেত্রে যদি এডমিন চান যে, তার ওয়েবসাইটটি কেউ খুঁজে পাবে না, তবে এডমিন রোবট এক্সক্লুশন প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে দূরে রাখে। কিছু ডাইনামিক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলো একসেস করতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যা পূরণ করা ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিনের পক্ষে অসম্ভব। আবার কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোয় অন্য কোনো সাইটের লিংক নেই, এরা স্বতন্ত্র, বিছিন্ন- এ ধরনের সাইট একসেস করা অত্যন্ত দুরূহ। আর এসব ওয়েবসাইট ক্রোম, ফায়ারফক্স, অপেরা, ইউসি, এক্সপ্লোরার বা অন্য সাধারণ ব্রাউজার দ্বারা একসেসের প্রশ্নই আসে না। সার্চ ইঞ্জিন গুলো টেক্সট ফরমেটে সার্চ করে। ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো অন্য কোনো ফরমেটেড ডাটা বা তথ্য খুঁজে পায় না। ডার্ক ওয়েবের সাইট গুলোয় প্রচলিত নিয়মের বাইরে কিছু বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিকভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিশেষ কোনো নিয়ম বা ফরমেট ফলো না করায় তারা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। এদের ডোমেইন বা ওয়েব অ্যাড্রেস এতই উদ্ভট থাকে, প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, কোনো বাচ্চা ছেলে মনের খেয়ালে কিছু লিখে রেখেছে। এ সাইট গুলোর ঠিকানা মনে রাখাও দুষ্কর। ডার্ক ওয়েবসাইট গুলো একসেস করতে হলে প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি জ্ঞান থাকা বাধ্যতামুলক। আরও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যেমন এরা টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার না করে অন্য বিশেষ কিছু নাম ব্যবহার করে। ডটকম, ডট নেট, ডট ওআরজি, ডট বিজ, ডট গভ. ইত্যাদি ব্যবহার করে না। তারা গতানুগতিক ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন না করে ভিন্নভাবে অন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে রেজিস্ট্রেশন করে। বিটনেট, অনিয়ন, ফ্রিনেট ইত্যাদি ডোমেইন ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনিয়ন নেটওয়ার্ক। এটি তৈরি হয়েছিল মূলত মার্কিন নেভির জন্য। কিন্তু এটি আজ এতই বিস্তৃত যে, এসব সাইট কে বা কারা চালায়, সেটা জানা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলো হ্যাকারদের জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক। এমন সব ইমেজ, ভিডিও পাওয়া যায় ডার্ক বা ডিপ ওয়েব এ, যা আমাদের ইন্টারনেটে নেই। মারিজোয়ানা, কোকেন, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য এগুলোর মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দেয়া হয়। মাদকাসক্তরাই ডার্ক ওয়েবের মূল ব্যবহারকারী। এমন কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে কট্টরপন্থীরা শিক্ষা দিচ্ছে- কীভাবে গোলাবারুদ তৈরি করতে হয়, কীভাবে অস্ত্র চালাতে হয়, উন্নতমানের অস্ত্র একে-৪৭, রকেট লাঞ্চার, মর্টার কোথায় কিনতে পাওয়া যায়, ডার্ক ওয়েবে মেইল সার্ভিস, চ্যাট সার্ভিস রয়েছে, যেখানে আপনি নিজেকে গোপন রেখে যোগাযোগ করতে পারবেন। অবৈধ সঙ্গীত, সিনেমা, গেম ডাউনলোড, কম মূল্যে মাদক অর্ডার ছাড়াও খুনি ও হ্যাকার ভাড়া করা হয় এবং আপনি শুনে ও চমকায় যাবেন এই ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব এ রক্ত মাংসের মানুষও হোম ডেলিভারি দেয়া হয়। ডার্ক ওয়েবের হ্যাকাররা অনেক ভয়ঙ্কর। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে তাদের জুড়ি মেলা ভার। তাদের কবলে পড়লে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। এখানে ভিজিটের পূর্বে তাই চিন্তা ভাবনা করা দরকার। বস্তুত বিশেষ সফটওয়্যার ও নির্দিষ্ট ব্রাউজারের সাহায্যে প্রবেশ করায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাউকে শনাক্ত করতে পারে না। এ বিশেষ ব্রাউজারটির নাম ‘টর’। এ ব্রাউজারের সাহায্যে নিজেকে সম্পূর্ণ গোপন রেখে ইন্টারনেট একসেস করা যায়। ‘টর’ ব্রাউজারে যখন কোনো ব্যবহারকারী নিজেকে ‘হাইড’ করে, তখন পৃথিবীর বড় বড় হ্যাকাররাও সেই ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করতে পারে না। ডার্ক ওয়েব হলো ডিপ ওয়েবের সেই অংশ যেখানে সকল রকম অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ হয়। তাই আমি বলবো এই সব ওয়েবসাইটে না যাওয়াই ভালো। যদিও চলে যান তাহলেও কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু এখান থেকে কিছু ডাউনলোড বা কেনাকাটা না করাই উচিত। যদিও বই বা গান(যেগুলো সারফেস ওয়েবে পাবেন না) ডাউনলোড করলেও কোনো ক্ষতি থাকার কথা নয়। কিন্তু ভুলেও অস্ত্র বা ড্রাগ বা কোনো বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়বেন না যেনো FBI CIA – এর মতো সংস্থারা এই সব ওয়েবসাইট গুলিতে নজর রাখার চেষ্টা করে। একবার শোনা গিয়েছিল FBI নিজেরাই সুপারি কিলারদের নাম করে ফেক ওয়েবসাইট খুলে বসেছিল তাই সাবধান। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জানা যাক কীভাবে ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেস করবেন। প্রথম শর্ত হলো আপনাকে নিজেকে লুকিয়ে নিতে হবে অর্থাৎ নিজের IP Address (Internet Protocol Address) লুকিয়ে নিতে হবে। ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেস করার জন্য onion নামের একটা নেটওয়ার্ক আছে। যা ডার্ক ওয়েবে এক্সেস করার গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও আরো কয়েকটা নেটওয়ার্ক আছে; তবে এটাই বেশী ব্যবহৃত। এর url শেষ হয় .onion দিয়ে। আর এ নেটওয়ার্কে প্রবেশের একমাত্র উপায় Orbot: Proxy with Tor এবং Orfox যা আপনি PlayStore থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
ইন্টারনেট এর কালো জগৎ (ডার্ক ওয়েব) এ প্রবেশ পর্ব – ১
published on March 26, 2019
leave a reply
আজকে আমি আপনাদের বলবো ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব সম্পর্কে। তথ্যপ্রযুক্তি উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে প্রসার পেয়েছে ইন্টারনেট। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষতা বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন গুলোর। তথ্যের মহাসমুদ্র থেকে তথ্য খুঁজে বের করতে গুগল এর নাম সবার আগেই চলে আসে।গুগল এর দক্ষতা এতো বেশি যে, বর্তমানে এটি একটি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৬৫.১ শতাংশ মানুষ গুগল ব্যবহার করে। ইয়াহু ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০.৯ শতাংশ, এমএসএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮.৪ শতাংশ, আসকব্যবহারী ৩.৯ শতাংশ এবং অন্য গুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৭ শতাংশ। সার্চ দেয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গুগল কোটি কোটি ডাটা আমাদের সামনে হাজির করে। কিন্তু আমরা কী কখনও ভেবে দেখেছি, ইন্টারনেটের মোট ডাটার কতটুকু আমাদের সামনে হাজির করা হচ্ছে, শুনলে আশ্চর্য হবেন, ইন্টারনেটের মোট তথ্যের মাত্র ১০ শতাংশ ডাটা আমাদের সামনে গুগল হাজির করতে পারে। বাকি ৯০ শতাংশ তথ্যই থাকে আমাদের নাগালের বাইরে লোকানো অবস্থাই যা গুগল আমাদের সামনে আনতে পারে না। ডিপ ওয়েবের একটি অংশ হলো ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েব হলো এমন একটি অংশ, যেখানে প্রচলিত নিয়মে আপনি একসেস করতে পারবেন না। সচরাচর ব্যবহৃত ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিন এগুলোকে খুঁজেই পায় না। উল্লেখ্য, ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিনগুলো সাধারণত ভার্চুয়াল রোবটের সাহায্যে ‘এইচটিএমএল’ ট্যাগ দেখে সাইটগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখে। এক্ষেত্রে যদি এডমিন চান যে, তার ওয়েবসাইটটি কেউ খুঁজে পাবে না, তবে এডমিন রোবট এক্সক্লুশন প্রোটোকল ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে দূরে রাখে। কিছু ডাইনামিক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলো একসেস করতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়, যা পূরণ করা ব্রাউজার বা সার্চ ইঞ্জিনের পক্ষে অসম্ভব। আবার কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোয় অন্য কোনো সাইটের লিংক নেই, এরা স্বতন্ত্র, বিছিন্ন- এ ধরনের সাইট একসেস করা অত্যন্ত দুরূহ। আর এসব ওয়েবসাইট ক্রোম, ফায়ারফক্স, অপেরা, ইউসি, এক্সপ্লোরার বা অন্য সাধারণ ব্রাউজার দ্বারা একসেসের প্রশ্নই আসে না। সার্চ ইঞ্জিন গুলো টেক্সট ফরমেটে সার্চ করে। ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো অন্য কোনো ফরমেটেড ডাটা বা তথ্য খুঁজে পায় না। ডার্ক ওয়েবের সাইট গুলোয় প্রচলিত নিয়মের বাইরে কিছু বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আধুনিকভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিশেষ কোনো নিয়ম বা ফরমেট ফলো না করায় তারা আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। এদের ডোমেইন বা ওয়েব অ্যাড্রেস এতই উদ্ভট থাকে, প্রথম দেখায় মনে হতে পারে, কোনো বাচ্চা ছেলে মনের খেয়ালে কিছু লিখে রেখেছে। এ সাইট গুলোর ঠিকানা মনে রাখাও দুষ্কর। ডার্ক ওয়েবসাইট গুলো একসেস করতে হলে প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, প্রক্সি জ্ঞান থাকা বাধ্যতামুলক। আরও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যেমন এরা টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার না করে অন্য বিশেষ কিছু নাম ব্যবহার করে। ডটকম, ডট নেট, ডট ওআরজি, ডট বিজ, ডট গভ. ইত্যাদি ব্যবহার করে না। তারা গতানুগতিক ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন না করে ভিন্নভাবে অন্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে রেজিস্ট্রেশন করে। বিটনেট, অনিয়ন, ফ্রিনেট ইত্যাদি ডোমেইন ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনিয়ন নেটওয়ার্ক। এটি তৈরি হয়েছিল মূলত মার্কিন নেভির জন্য। কিন্তু এটি আজ এতই বিস্তৃত যে, এসব সাইট কে বা কারা চালায়, সেটা জানা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলো হ্যাকারদের জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক। এমন সব ইমেজ, ভিডিও পাওয়া যায় ডার্ক বা ডিপ ওয়েব এ, যা আমাদের ইন্টারনেটে নেই। মারিজোয়ানা, কোকেন, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য এগুলোর মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দেয়া হয়। মাদকাসক্তরাই ডার্ক ওয়েবের মূল ব্যবহারকারী। এমন কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে কট্টরপন্থীরা শিক্ষা দিচ্ছে- কীভাবে গোলাবারুদ তৈরি করতে হয়, কীভাবে অস্ত্র চালাতে হয়, উন্নতমানের অস্ত্র একে-৪৭, রকেট লাঞ্চার, মর্টার কোথায় কিনতে পাওয়া যায়, ডার্ক ওয়েবে মেইল সার্ভিস, চ্যাট সার্ভিস রয়েছে, যেখানে আপনি নিজেকে গোপন রেখে যোগাযোগ করতে পারবেন। অবৈধ সঙ্গীত, সিনেমা, গেম ডাউনলোড, কম মূল্যে মাদক অর্ডার ছাড়াও খুনি ও হ্যাকার ভাড়া করা হয় এবং আপনি শুনে ও চমকায় যাবেন এই ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব এ রক্ত মাংসের মানুষও হোম ডেলিভারি দেয়া হয়। ডার্ক ওয়েবের হ্যাকাররা অনেক ভয়ঙ্কর। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে তাদের জুড়ি মেলা ভার। তাদের কবলে পড়লে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। এখানে ভিজিটের পূর্বে তাই চিন্তা ভাবনা করা দরকার। বস্তুত বিশেষ সফটওয়্যার ও নির্দিষ্ট ব্রাউজারের সাহায্যে প্রবেশ করায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাউকে শনাক্ত করতে পারে না। এ বিশেষ ব্রাউজারটির নাম ‘টর’। এ ব্রাউজারের সাহায্যে নিজেকে সম্পূর্ণ গোপন রেখে ইন্টারনেট একসেস করা যায়। ‘টর’ ব্রাউজারে যখন কোনো ব্যবহারকারী নিজেকে ‘হাইড’ করে, তখন পৃথিবীর বড় বড় হ্যাকাররাও সেই ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করতে পারে না। ডার্ক ওয়েব হলো ডিপ ওয়েবের সেই অংশ যেখানে সকল রকম অনৈতিক ও অসামাজিক কাজ হয়। তাই আমি বলবো এই সব ওয়েবসাইটে না যাওয়াই ভালো। যদিও চলে যান তাহলেও কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু এখান থেকে কিছু ডাউনলোড বা কেনাকাটা না করাই উচিত। যদিও বই বা গান(যেগুলো সারফেস ওয়েবে পাবেন না) ডাউনলোড করলেও কোনো ক্ষতি থাকার কথা নয়। কিন্তু ভুলেও অস্ত্র বা ড্রাগ বা কোনো বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়বেন না যেনো FBI CIA – এর মতো সংস্থারা এই সব ওয়েবসাইট গুলিতে নজর রাখার চেষ্টা করে। একবার শোনা গিয়েছিল FBI নিজেরাই সুপারি কিলারদের নাম করে ফেক ওয়েবসাইট খুলে বসেছিল তাই সাবধান। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জানা যাক কীভাবে ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেস করবেন। প্রথম শর্ত হলো আপনাকে নিজেকে লুকিয়ে নিতে হবে অর্থাৎ নিজের IP Address (Internet Protocol Address) লুকিয়ে নিতে হবে। ডার্ক ওয়েব অ্যাকসেস করার জন্য onion নামের একটা নেটওয়ার্ক আছে। যা ডার্ক ওয়েবে এক্সেস করার গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও আরো কয়েকটা নেটওয়ার্ক আছে; তবে এটাই বেশী ব্যবহৃত। এর url শেষ হয় .onion দিয়ে। আর এ নেটওয়ার্কে প্রবেশের একমাত্র উপায় Orbot: Proxy with Tor এবং Orfox যা আপনি PlayStore থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
0 comments: